কালেমা শিক্ষার বিভিন্ন দিকঃ
১. কালেমা তাইয়েবা শুদ্ধ উচ্চারণে পড়তে হবে।
২. কালেমার শাব্দিক অর্থ জানতে হবে।
৩. কালেমার মর্মকথা বুঝতে হবে।
৪. কালেমার ওয়াদা পালন করতে হবে।
কালেমার শাব্দিক অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, মুহাম্মাদ (সা) আল্লাহর রাসূল।
কালেমার মর্মকথাঃ জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সবসময়, সব অবস্থায় আল্লাহকে একমাত্র হুকুমকর্তা, (ইলাহ) প্রভু মানতে হবে এবং আল্লাহর হুকুমের বিরোধী কারো হুকুম মানা যাবেনা।
আর মুহাম্মদ (সা) এর নিকটই আল্লাহর হুকুম এসেছে এবং তিনি আল্লাহর শেখানো নিয়মে আল্লাহর হুকুম পালন করেছেন। কালেমা কবুলকারীকে একমাত্র রাসূল (সা) এর নিয়ম বা তরীকা অনুযায়ী আল্লাহর সব হুকুম পালন করতে হবে।
ময়না বা টিয়া পাখিকে শেখালে কালেমা পড়তে পারে; কিন্তু সে কালেমা বুঝে কবুল করতে পারে না। তাই পাখি কালেমা উচ্চারণ করতে পারা সত্ত্বেও মুমিন বলে গণ্য হবে না। ঈমানের দাবি হলো কালেমার শব্দগুলো মুখে উচ্চারণ করে মনে এর মর্ম বুঝে কবুল করতে হবে।
()এর সাথে সাথে () হতে হবে। অর্থাৎ মুখে স্বীকার করার সাথে সাথে মনেও কবুল করতে হবে।
উদাহরণঃ পানি একটি শব্দ। কিন্তু শব্দটিতে পানি নেই। পানি একটা জিনিস যা এ শব্দ দ্বারা বুঝা যায়। পিপাসা দূর করতে হলে পানি পান করতে হবে। পানি পানি জপলে পিপসা আরও বাড়বে । কারণ পানি শব্দে কোন পানি নেই। তেমনি কালেমায়ে তাইয়েবার শব্দগুলো কালেমা তাইয়েবা নয়। এর মর্মকথাটাই আসল কালেমা।
কালেমার ওয়াদা : কালেমার মর্মকথা কবুল করার মাধ্যমে এ ওয়াদাই করা হলো যে আমি একমাত্র আল্লাহর হুকুম মেনে চলব, তার হুকুমের বিরোধী কারো হুকুম মানব না এবং আমি আল্লাহর সব হুকুম একমাত্র রাসুলে (সা) শিখানো তরিকা অনুযায়ী পালন করব এবং অন্য কারো কাছ থকে তরীকা নেব না।
কালেমা কবুল করার মধ্যে এ ওয়াদা যে প্রচ্ছন্ন রয়েছে, তা অস্বীকার করা যায় না । এ ওয়াদা ছাড়া কালেমা কবুল করা অর্থহীন । কালেমা গ্রহণ মানেই এ দু’দফা ওয়াদা করা।
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান